training, businessman, suit

পড়াশুনার ক্ষেত্রে মেধাবী, সবল আর দুর্বল – এই শব্দগুলি আপেক্ষিক

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ পড়াশুনার ক্ষেত্রে মেধাবী, সবল আর দুর্বল – এই শব্দগুলি আপেক্ষিক।পড়াশুনা নিয়ে সকলকেই জীবনে কোন না কোন সমস্যার সম্মূখীন হতেই হয়।আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা অনেকের কাছে যাই কিন্তু সন্তুষ্টি মূলক সমাধান না পেলেই শুরু হয় হতাশা।তবে সমস্যা যাই হোক না কেন, সমস্যা তৈরী হয় আমাদের অজ্ঞতার কারণে, আবার অনেক সময় মানসিক কারণে।এছাড়াও পারিবারিক, পারিপার্শ্বিক ও প্রতিষ্ঠানগত কারনও হতে পারে। তবে মেধাবী ছাত্র হলেই ভাল ছাত্র হবে – এমন ভাব্বার কোনো দরকার নেই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোনো শিক্ষার্থী তৃতীয় শ্রেণীতে প্রথম হলেও সপ্তম শ্রেণীতে ফেল করেছে।তবে এটা সত্যিই যে, ভাল ছাত্র হতে হলে সব সময় কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। একমাত্র কৌশল অবলম্বন করেই আমাদের আশেপাশে অনেকে আছেন যারা নিজেকে ভাল ছাত্র হিসাবে প্রমান করেছে। যদি আমরা  বিভিন্ন বিখ্যাত প্রতিভাবান ব্যক্তিদের জীবনী পড়ি, তাহলে দেখতে পাব যে, তারা ছাত্র জীবনে বিভিন্ন প্রকার সমস্যায় ভুগেছিলেন।যেমন:

“বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন ছেলে বেলায় এতই বোকা ছিলেন যে, মাস্টার মশাই তার মাকে লিখেছেন, “আপনার সন্তান স্থুলবুদ্ধি সম্পন্ন, সে এই স্কুলের পড়াশুনার উপযুক্ত নয়, আমরা কোনোভাবেই তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না।””বিজ্ঞানী আইনস্টনকে ছেলেবেলায় বলা হতো এক নাম্বার গবেট।স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণে তার লেখাপড়া শুরু করতেই প্রায় নয় বছর পেরিয়ে যায় স্মৃতিশক্তি দুর্বলতার কারণে তিনি একদম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তারপর তার আপ্রাণ চেষ্টায় দুই বছরে তার স্মুতিশক্তির অসাধারণ উন্নতি হয়। বাকি কথা তো সবাই জানে।”

কি কি মেনে চললে ভাল ছাত্র হওয়া যায়

মানসিকতার পরিবর্তন

আমাদের জীবনে সব কিছুর পিছনে মানসিকতা জড়িয়ে আছে। একমাত্র ভাল মানসিকতাই আমাদের জীবনে ভাল রেজাল্ট এনে দিতে পারে। পড়াশুনার মধ্যে লেগে থাকার মানসিকতা তৈরী করতে হবে। আমরা যদি মন থেকে পড়াশুনা করার লক্ষ্য নিয়ে পড়ি, তাহলে অবশ্যই আমরা পড়াশুনায় সফল হব।

দক্ষতা অর্জন

পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করতে হলে ভাষা ও ব্যকরণে দক্ষ হতে হবে। এই দক্ষতা অর্জনের জন্য ব্যকরণের প্রতিটি বিষয়ে জানতে হবে। বাংলা ভাষাই হোক আর ইংরেজী – সব ক্ষেত্রেই প্রতিনিয়ত ভাষা চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী ব্যকরণে দুর্বল হয়, তারা ভাষা শিখতেও খুব ভয় পায়। তাই ব্যকরণ ও ভাষা সমস্যা থেকে নিজেকে উদ্ধার করার জন্য একজন দক্ষ ভাষা শিক্ষকের সাহায্য ও পরামর্শ নিতে হবে।এর পাশাপাশি শিখে নিতে হবে নির্ভূল, সুন্দর ও ঝকঝকে হাতের লিখার কৌশল যা এনে দেবে উচ্চ নম্বরের নিশ্চয়তা।

পড়া-লেখা করতে হবে

শহর কিংবা গ্রামে অনেক গুণী ব্যক্তি আছেন, তাদের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, ‘আজকালের ছেলে-মেয়েরা পড়া-লেখা করে না’। কথাটি অপ্রিয় হলেও সত্যি। আমরা শুধুমাত্র পড়ি আর শুনি, কিন্তু লিখি না। আর না লিখার ফলে আমাদের শ্মৃতিতে সেই পড়া বেশি দিন সঞ্চিত থাকেনা। তাই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই পড়া লিখে লিখে অভ্যাস করতে হবে।

স্বনির্ভরশীল হতে হবে

অনেক শিক্ষক ও গৃহশিক্ষক আছেন, যারা শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেকে সপে দেন, সেইসব শিক্ষকের কথা মেনে চললে সফলতা অনিবার্য।। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নিষ্ঠাবান শিক্ষকের বড় আকাল তাই নিজের পড়াশুনার দ্বায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।

গ্রুপ স্টাডি

যেকোনো বিষয় দলগত ভাবে আলোচনা করে পড়াশুনা করলে বা গ্রুপ স্টাডি করলে মনে থাকে বেশি। তাই কিছু বন্ধু-বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে একটি স্টাডি গ্রুপ তৈরী করতে হবে।

দূরে রাখতে হবে

পড়াশুনার সময় মোবাইল ও কম্পিউটার নিজের থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ ঐসব জিনিস কাছে থাকলে মনোযোগ নষ্ট করে।

ঘুম ও খাবার

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত ঘুম(৬-৮ ঘণ্টা) ও পুষ্টিকর খাবার শিক্ষার্থীর পড়াশুনার গুনমান অনেকগুন বাড়িয়ে দেয়। তাই পরিমিত ঘুম ও পুষ্টিকর খাবার চাই-ই চাই।